একদা এক প্রবীণ ভক্ত স্নান করিয়া ভিজা কাপড়ে সচন্দন তুলসী হাতে ঠাকুরের দিকে অগসর হইতেছেন লক্ষ্য করিয়া ঠাকুর চরণ দুইখানি প্রসারিত করিয়া দিলেন।

 একদা এক প্রবীণ ভক্ত স্নান করিয়া ভিজা কাপড়ে সচন্দন তুলসী হাতে ঠাকুরের দিকে অগসর হইতেছেন লক্ষ্য করিয়া ঠাকুর চরণ দুইখানি প্রসারিত করিয়া দিলেন।

.






কিন্তু তিনি সচন্দন তুলসীপত্র লইয়া ঠাকুরের নিকট যাইয়া হাত প্রসারণ করিয়া ঠাকুরের বক্ষস্থলের নিকট নিতেই ঠাকুর প্রশ্ন করিলেন, এইগুলি কোনখানে দিবেন?
.
তিনি বলিলেন, "বাবা, সচন্দন তুলসীপত্র আপনার বক্ষে দিব।" ঠাকুর চরণ দুইখানি দেখাইয়া দিয়া বলিলেন, তুলসীপত্রের স্থান নারায়ণের শ্রীদেহের দেহের অন্য কোথাও না। উহার স্থান নারায়ণের চরণযুগলে। তিনি অমনি ঠাকুরের প্রসারিত চরণ-কমলে সচন্দন তুলসীপত্র নিবেদন করিয়া প্রনত হইলেন।
.
সেখানে উপস্থিত শাস্ত্রীমহাশয় সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্ন করিলেন, "বাবা, তুলসীপত্র নারায়ণের চরণে দিতে হয়। কিন্তু নারায়ণ ওদিকে তুলসীকে মালা করে স্বীয় কন্ঠে ধারণ করে রেখেছেন। এর তাত্পর্য কি?"
.
ঠাকুর - তাৎপর্য নিশ্চয় আছে। তুল অর্থ হইল সম, সমতুল্য। ভক্ত, ভক্তি, ভগবান তিনরূপে প্রতিয়মান হইলেও মূলত: এক, অভিন্ন এবং সমতুল্য। অতএব মূর্তিমতী ভক্তিদেবী তুলসীরূপে সর্বদা নারায়ণের চরণাশ্রয় বাঞ্ছা করেন বইলা চরণে দিতে হয়। আর তুলসী নারায়ণ সমতুল্য বইলা নারায়ণ তুলসীর মালা কইরা সাদরে স্বীয় কন্ঠে ধারণ কইরা একত্বের প্রমাণ করছেন। যিনি যেইভাবে ভালবাসেন, তিনি সেইভাবে আনন্দ লাভ করেন।
.....
একদা এক প্রবীণ ভক্ত স্নান করিয়া ভিজা কাপড়ে সচন্দন তুলসী হাতে ঠাকুরের দিকে অগসর হইতেছেন লক্ষ্য করিয়া ঠাকুর চরণ দুইখানি প্রসারিত করিয়া দিলেন। একদা এক প্রবীণ ভক্ত স্নান করিয়া ভিজা কাপড়ে সচন্দন তুলসী হাতে ঠাকুরের দিকে অগসর হইতেছেন লক্ষ্য করিয়া ঠাকুর চরণ দুইখানি প্রসারিত করিয়া দিলেন। Reviewed by শ্রী শ্রী সত্যনারায়ণ নমঃ(SriSriramthakur O gan Ganer vhovon Youtube channel) on জুন ১৭, ২০২৪ Rating: 5

কোন মন্তব্য নেই:

 ভগবানের দাস হইয়া থাকিলে সাধন ভজনের প্রয়োজন হয় না। চেষ্টা করিয়া যাইবেন ফলাফল অদৃষ্টচক্রে প্রকাশ পাইবে। নামের আশ্রয়ে থাকিলে অপ্রাপ্ত ব...

Blogger দ্বারা পরিচালিত.