ধীরে ধীরে নাম ধরিয়া ডাকিতে যে রকম হয় সেই ভাবেই নাম করিতে হয়।এই প্রকার সর্ব্বদা করিতে করিতে ক্রমেই প্রেমের অঙ্কুর হইয়া ফলফুলাদি ভাব সকল স্ফুরণ হয় এবং শরীরেও শান্তি ভোগ হয়।তাড়াতাড়ি করিলে হাঁপাইয়া শরীর কাতর হইয়া পড়ে,নামের ব্যাঘাত হয়।
বেদবানী প্রথম খন্ড - (৪৫)নং পত্রাংশ
ব্রজবধূর কৃষ্ণভক্তি প্রেমের তরঙ্গে চঞ্চলই আকর্ষণ করিয়া থাকে এবং বিষ অমৃত একত্র হইয়া ভগবৎ সেবায় পূর্ণ শক্তিমান হয় বলিয়া শান্তির অভাব থাকিয়াই যায়। শান্তি হয় না। ইহাই ভগবানের প্রেমের লক্ষণ জানিবেন। যেখানে শান্তির তরঙ্গ উদয় আছে সেখানে সমতাভাব হয় মাত্র কিন্তু প্রেমের অভাব থাকিয়া যায়। অতএব ভগবৎভক্ত শান্তিময় অজস্র ঐশ্বর্য্যকে তুচ্ছ করিয়া থাকে। ■ মায়ামুগ্ধ বুদ্ধি কেবল শান্তির তৃপ্তি খোঁজে। ব্রজের পথে ঐহিক প্রারন্ধের কণ্টক চৌদিকেতে বিকশিত হয়। কালের ঋণ শোধন জন্যই পতিব্রত আচরণে যত্নশীল হইয়া সতীধৰ্ম্ম কায়ক্লেশে ভোগান্ত করিয়া নিত্যমুক্ত ভক্তির উর্ব্বান করিয়া পথ রাখিয়া গিয়াছেন।
বেদবানী প্রথম খন্ড - (৩৮)নং পত্রাংশ
বেদবানী প্রথম খন্ড - (৩৭)নং পত্রাংশ
বেদবানী প্রথম খন্ড - (৩৬)নং পত্রাংশ
বেদবানী প্রথম খন্ড -2 নং পত্রাংশ
বেদবানী প্রথম খন্ড -(৩) নং পত্রাংশ
বেদবানী প্রথম খন্ড -(8) নং পত্রাংশ
বেদবানী প্রথম খন্ড (5)নং পত্রাংশ
বেদবানী প্রথম খন্ড -(6) নং পত্রাংশ
বেদবানী প্রথম খন্ড -(৭) নং পত্রাংশ
বেদবানী প্রথম খন্ড -(8) নং পত্রাংশ
বেদবানী প্রথম খন্ড - (৪৩)নং পত্রাংশ
বেদবানী প্রথম খন্ড - (88)নং পত্রাংশ
সংসার মায়াময়, ভ্রান্তিসূচক, সুখ দুঃখ প্রকাশক। সর্ব্বদা প্রারব্ধ গতির বিরোধী না হইয়া তাহাদের সেবা পরিচর্যার বাধা না দিয়া, কেবল ভগবানের সেবা নিষ্ঠায় যত্নবান হইতে চেষ্টা করিবেন। বাসনাদি যাহা রজগুণের তরঙ্গ তাহারা সকলই উদয় হইয়া অস্ত হইবে। তাহাদের তাড়না জালের প্রতি লক্ষ্য না রাখিয়া আপন ইষ্ট সেবায় লক্ষ্য রাখিয়া যাইবেন। অচিরেই ভগবান এই মায়াক্ষেত্রের বিকার হইতে উদ্ধার করিয়া লইবেন সন্দেহ নাই। সাধ্যমতই ভগবানের সেবাচ্যা করিয়া যাইবেন। মনের চঞ্চলতার দিকে লক্ষ্য না রাখিয়া কেবল সেবার আশ্রয়ে থাকিবেন। মনের ধর্মই হইয়াছে চঞ্চল। সর্ব্বদা সেবাকার্য্যই ব্রজের পরিকর জানিবেন।

কোন মন্তব্য নেই: