শ্রীশ্রী ঠাকুরের শ্রীমুখে পদত্ত নামঃ-
এখন যে প্রাণস্পশী উপদেশের কথা বর্ণনা করিতে যাইতেছিলাম, তাহারই একটি বিবরণ এখানে সন্নিবেশিত করিবার চেষ্টা করিব। ১৯৪৫ ইংরেজীর ২৮শে ডিসেম্বর তারিখে যে গুরুভগিনীটি ঠাকুরের কৃপা লাভ করিয়াছিলেন, তিনি তাহার স্বামীর সহিত আগরতলা হইতে ডাউন ট্রেনে রাত্রি ৭ ঘটিকার সময় চৌমুহনী আসিয়া পৌছেন এবং স্টেশনে নামিয়াই অন্যান্য দর্শনার্থীদের সহিত আশ্রমে চলিয়া আসেন।
তাহারা শ্রী শ্রী ঠাকুর কে প্রনাম করিয়া কিছুক্ষণ পর সুযোগ বুঝিয়া স্বামী - স্ত্রী দুজনে উঠিয়া আসিয়া ঠাকুরের আসনের কাছে হাত জোড় করিয়া দাড়ান। উক্ত মহিলার স্বামী ইতিপূর্বেই ঠাকুরের আশ্রয় লাভ করিয়াছিলেন। তাই তিনি তাহার স্ত্রীকেও নাম দিবার জন্য ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা জানান। ঠাকুর তখন মহিলাটিকে সম্বোধন করিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন "মা, নাম নিবেন?" তিনি মাথা নাড়িয়া সন্মতি জানাইলে ঠাকুর বলিলেন, আমি 'নাম' বলিয়া যাইতেছি, আপনি আমার সাথে সাথে ঐ নাম আবৃত্তি করিয়া যাইবেন।
এই বলিয়া শ্রী শ্রী ঠাকুর চক্ষু মুদ্রিত করিলেন এবং অল্পক্ষণ পরে ছয় অক্ষর যুক্ত নাম মহামন্ত্র উচ্চারণ করিতে লাগিলেন। মহিলাটিও ঠাকুরের নির্দ্দেশ অনুযায়ী ঐ নাম মহানাম আবৃত্তি করিয়া চলিলেন। এই ভাবে অষ্টাদশ বার আবৃত্তি করার পর ঠাকুর থামিয়া অতি আবেগভরে বলিতে লাগিলেন "মা, এই যে নাম পাইলেন ইহার ভিতরে কিন্তু প্রাণ আছে। আপনি ত সন্তানের মা। তাই জানেন যে সন্তান যখন ভূমিষ্ট হয়, তখন তাহার প্রাণের স্পন্দন বুঝা যায় না। ভূমিষ্ট হওয়ার পর ধাত্রী তাহাকে ধুইয়া মুছাইয়া শুকনা কাপড়ে জড়াইয়া নিয়া প্রাণ স্পন্দন দেয়। পরে সন্তান মুখব্যাদান করিলে অতি সন্তর্পণে ভিজা নেকড়ার সাহায্যে মিশ্রিত জল মুখে দেয়। আপনিও তাহার মুখে স্তন হইতে ক্ষীরধারা দেন। এভাবে যত্ন করিতে করিতে শিশু ক্রমে চোখ মেলে, হাত পা নাড়ে, তাহার মুখে হাসি ফোটে। ভূমিষ্ট হওয়ার সময় হইতে মা, শিশুকে যে ভাবে যত্ন করেন, তাহা মন দিয়া করেন না, করেন প্রাণ দিয়া। শিশুর প্রতি মায়ের এই যে টানে যত্ন, সেরূপ যত্ন এই নামের প্রতি প্রাণ দিয়া করিতে হইবে।
কিছুদিন পর আপনি অতুড় ঘর ছাড়িয়া নিজের ঘর সংসারের কাজে যোগ দেন, সংসারের কাজে যাবার আগে শিশুকে অতি যত্ন ও সাবধানে শোয়াইয়া রাখিয়া যান। এদিকে সংসারের কাজেকর্ম করিতে করিতে আপনি কিন্তু সব সময়েই উত্কর্ণ হইয়া থাকেন - কখন বুঝি বা শিশু কাঁদে, এই যে উত্কর্ণ হইয়া থাকা, এখানেও প্রানের টান। ঠিক এইভাবে যখন আপনি সংসারের কাজকর্ম নিয়া থাকিবেন, নামের প্রতিও ঠিক একইভাবে আপনার প্রাণের টান থাকিবে। মনে রাখিবেন এই সংসার গোপালের সংসার, যা কিছু সংসারের কাজ সবই গোপালের কাজ।
গোপাল ক্রমে হাঁটিতে শিখিলে যশোদা মা হাততালি দিয়া তাকে আঙ্গিনায় নাচতেন এবং গোপালের নাচ দেখিয়া মা আনন্দে ভরপুর হইতেন। এই নামরূপী গোপালও আপনার যত্নে ক্রমে চেতনা মুক্ত ও শক্তিশালী হইয়া আপনার হৃদয় আঙ্গিনা আলো করিয়া নাচিতেছেন, অনুভূতিতে আনন্দে আত্মহারা হইবেন। ইহাই নিত্যানন্দের যোগ।
যশোদা মার 'গোপাল' ইতক্রমে বড় হইয়া মথুরার রাজা হইয়াছিলেন। তখন তাহার নাম হইয়াছিল 'গোবিন্দ'। আপনার নামরূপী গোপালকে প্রাণ দিয়া যত্ন করিতে করিতে ক্রমে গোবিন্দ রূপে, - বিশ্বের রাজা রূপে জানিতে পাইবেন। গো-ব্রহ্ম সত্য। বিদ-জানা। গোবিন্দ-আনন্দ , সত্যকে জানা"
শ্রী শ্রী ঠাকুর যেরূপ আবেগের সহিত কথাগুলি বলিয়া গেলেন, তাহাতে নামপ্রাপ্তা গুরুভগিনীটির প্রাণে এমনই সাড়া আসিল যে, তিনি আর অশ্রু সম্বরণ করিতে পারিলেন না। দরদর করিয়া প্রেমাশ্রু তাহার গন্ডদ্বয় বহিয়া ঝরিতে লাগিল। শুধু তিনি নন, সেদিন এই নাম দিবার সময়ে ঠাকুরের আসনের সন্নিকটে আমরা যে কয়েকজন উপবিস্ট ছিলাম, কেহই অশ্রু সম্বরণ করিতে পারি নাই। ধন্য আমার এই ভাগ্যবতী গুরুভগিনী। ঠাকুরের কৃপায় ইস্টস্মৃতিতে ক্ষনিকের মধে সচ্চিনানন্দ সাগরে ডুবিয়া ধন্য হইলেন। এই ইস্টস্মৃতি তাহার হৃদযে চিরদিন জাগরুক থাকিবে, আমার এই আন্তরিক বিশ্বাস। দু: খের বিষয় উক্ত নামপ্রাপ্তা গুরুভগিনীটির নাম জিজ্ঞাসা করার কথা তখন মনে জাগে নাই, তাই এখানে তাহার ও তাহার স্বামীর নাম উল্লেখ করিতে পারিলাম না।
{শ্রদ্ধেয় গুরুভ্রাতা শ্রীঁরোহিণীকুমার মজুমদার}
...
Sri Sri Thakur's name on Shrimukh:-I'll try to include a detail here for the life touching advice I was going to describe. On December 28, 1945, the Gurubhagini who received the blessings of Thakur, reached Choumuhni Asia along with her husband on the down train from Agartala at 7 pm and drove to the station to the ashram along with other visitors.They bowed down to Sri Sri Thakur and understood the opportunity after some time, husband and wife came up and stand near the Thakur's seat with folded hands. The husband of the said woman had already taken shelter in the Thakur. So he prayed to God to name his wife too. The Thakur then addressed the woman and asked "Mother, take the name? "She agreed with shaking head, Thakur said, I am saying 'name', you will recite that name with me."This crazy Sri Sri Thakur printed his eyes and started chanting six letter name Mahamantra after a while. The woman also recited Mahanam as per the instructions of Thakur. After reciting eighteen times like this, Thakur Thamia started saying very emotionally, "Mother, here you got the name inside it but there is life." You are the mother of the child. So you know that when a child is grounded, the beat of his soul is not understood. After being grounded, the midwife washed and wrapped her with dry clothes and gave her heart beat. Later when the child does mouth ache, mixed water with the help of a wet wolf. You also put Kirdhara in his mouth to get breasts. While caring like this, the child opens eyes, waves hands and legs, makes a smile on her face. The way mother takes care of her child before the ground is not paying attention, she gives her life. This is how the mother's care for the child, similar care has to be sacrificed for this name.After few days you leave the unbreakable house and join your own house in your house, take care and carefully put the child to sleep before going to the family work. Meanwhile you're always nervous while doing family work - when or when the child cries, here's being nervous, here's a tug of life. Just like that when you're doing family activities, your name will have the same task. Remember this family is Gopal's family, whatever family works are all Gopal's work.If Gopal learnt to walk in order, mother Yashoda used to clap and dance in the courtyard and after seeing Gopal's dance, mother would be filled with joy. This Namrupi Gopal is also dancing in your care by being conscious free and strong, lighting your heart, you will become suicide with joy in feelings. This is the addition of Nityananda.Yashoda Mar's 'Gopal' grew up and became the king of Mathura. Then his name was 'Govind'. To care for your namrupi Gopal with life, you will get to know as the king of the world. The cow-brahma truth. Wid-known. Govinda-Ananda, knowing the truth"Sri Sri Thakur said the words of Jerupe with emotion, in which the renowned teacher came to such a response that he could no longer hold tears. The tears of love started falling down with compassion. Not only him, but the few sub-bists we were near the Thakur's seat when he was named that day, no one could shed tears. Blessed is this lucky teacher of mine. With the grace of God, in the memory of East, Sachchinananda was blessed to be drowned in the sea of Sachchinananda. This memory will remain awake forever in her heart, my sincere belief. Sadly, I didn't remember asking the name of the named teacher, so I couldn't mention her and her husband's name here.{Respected Guruvrata Sri Rohinikumar Majumdar}
Reviewed by srisriramthakurfbpage
on
জুন ১৭, ২০২৪
Rating:
কোন মন্তব্য নেই: